ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ , ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি, স্থানীয়দের


আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-১৫ ০০:৩৬:২৫
সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি, স্থানীয়দের সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি, স্থানীয়দের


মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাসিক সাবেক মেয়র লিটন ও এমপি ফজলে হোসেন বাদশার আস্তাভাজন ও মদদপুষ্ট আ’লীগের দোসর কাজী শফিকুল ইসলাম। তার দাপট ও অপকর্মের গুঞ্জন এখন আদালত পাড়ায়। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী শফিকুল ইসলাম বিগত দিনে সাবেক মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আশীর্বাদপুষ্ট, আস্থাভাজন, সাহসী কর্মী, এবং সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশার ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন।


জানা যায়, বিগত দিনে সাবেক মেয়র এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটনের আশীর্বাদপুষ্ট, আস্থাভাজন, সাহসী কর্মী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশার ঘনিষ্ঠ অনুসারী কাজী শফিকুল ইসলাম। সাবেক স্বৈরাচার আ’লীগের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় আ’লীগের দোসর শফিকুল ইসলাম কাজী হিসেবে রাসিক ৫নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব পান।


গত ২৮/১০/২০২৩ তারিখে রাসিক ৪নং ওয়ার্ডের কাজী জহুরুল ইসলাম মৃত বরণ করেন। ফলে ৪নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব নিতে দৌঁড়ঝাপ করেন এই কাজী শফিকুল ইসলাম। পরে রাসিক সাবেক মেয়র লিটনের সুপারিশে ৪নং ওয়ার্ডে অতিরিক্ত কাজী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


একাধীক কাজী সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত কাজীর দায়িত্বের মেয়াদ থাকে ১২০দিন। অথচো এই কাজি সেই মেয়াদ পূর্ণ করেছেন আরও ৫মাস পূর্বে। বর্তমানে তিনি বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দায়িত্ব পালন করছেন।



স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাজী শফিকুল ইসলাম, তিনি ৫নং ওয়ার্ডে সাবেক ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্যও তার ভাই মোঃ সিরাজুল ইসলাম ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে কাজী শফিকুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম দুইভাই পূর্বের ন্যায় দাপটের সাথে তাদের কার্যক্রম চালালেও অজ্ঞাত কারনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন প্রকার পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়না। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। কাজী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ্ধসঢ় দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি মহানগরীর রাজপাড়া এলাকায় চলতি মাসে বাল্য বিবাহ দিয়েছেন।


যাহার কোন তথ্য প্রমানাদি বা কাগজপত্র দেননি বলে জানা গেছে। তবে ওই এলাকার একাধীক স্থানীয়রা বাল্য বিবাহের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বেআইনি ও অনৈতিক কর্মকাÐের মাধ্যমে কোর্ট চত্বরে দাপটের সাথে চলাফেরা করছেন এই বিতর্কিত নিকাহ রেজিস্ট্রার।


তার বিরুদ্ধে রয়েছে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন, ভুয়া কাবিননামা তৈরি, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে অবৈধ বিয়ে রেজিস্ট্রি, ও আদালতের পরিবেশ নষ্ট করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা। 


সার্বিক বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে কাজী শফিকুল ইসলাম জানান, কোর্টে আসেন সাক্ষাতে কথ্ধাসঢ়; হবে।


তিনি আরও বলেন, সার্বিক বিষয়ে জানতে হলে জেলা রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে জানতে হবে। তবে কার সুপারিশে কাজী হয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ